বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ বছরে দেশে যে পারিমাণ জঞ্জাল তৈরি করে গেছে, তা সরানো ১৭ দিনে সম্ভব না, ১৭ মাসেও সম্ভব না। এজন্য সময় প্রয়োজন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাবসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের অসহিষ্ণু হলে চলবে না, আরো সহনশীল হতে হবে। অন্তর্বতী সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে, তাদের সে সময়টুকু দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার যে কাজটা সফলভাবে করেছে, তা হলো তারা জাতিকে বিভক্ত করেছে। এ বিভক্তিটা দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। আমাদের মতামত ভিন্ন থাকতেই পারে, গণতান্ত্রিক দেশে এটা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঐক্যটা জরুরি। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে হঠাতে ৬৩টি রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন করেছি, ডান-বাম মধ্যপন্থি সব একসাথে। সেদিক থেকে আমরা বলব, অনেকটা কাজ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশে একটা চূড়ান্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। এখন আমাদের যেটা দরকার, তা হলো এ সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, একটা লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে, যেন সবাই সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। সংস্কারের নামে সব সেক্টরে হাত দেয়ার দরকার নেই। সেটা নির্বাচিত পার্লামেন্ট করবে। আওয়ামী লীগ যেসব লোকগুলোকে নিয়োগ দিয়েছিল, তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ করা, বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ করা। তাহলেই নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
রাজনৈতিক দলগুলো প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করা ছেড়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশে পরিষ্কার নির্দেশ দেয়া আছে, কখনোই কোনো নিয়ন্ত্রণ করা বা প্রসাশনের কারো ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করার মধ্যে আমরা নেই। এমন কথা যদি কোনো অফিসার বলে থাকে, তাহলে এটা তার অন্যায়।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক ও পৌর সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, সেক্রেটারি তারিক আদনান, সদর থানা সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিসসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।