spot_img

অবশেষে বিশ্বকাপ ও সৌদি আরবে খেলা নিয়ে মুখ খুললেন নেইমার

অবশ্যই পরুন

দীর্ঘ এক বছর ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে আল হিলালের জার্সিতে মাঠেও নেমেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে আবার ইনজুরিতে পড়লেন নেইমার। এতেই গুঞ্জন রটে সৗেদি আরবের ক্লাবটির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হতে যাচ্ছে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার।

তবে ইনজুরি আর গুঞ্জনের মাঝে মুখ খুললেন তিনি। কথা বললেন সৌদি আরবের ফুটবল ও ২০৩৪ বিশ্বকাপ নিয়ে। টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়ানোর এক দশক আগেই নেইমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখিয়েছেন ফুটবল বিশ্বকে।

২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক সৌদি আরব। কাতারের পর মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সৌদি আরবে বসতে যাচ্ছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় ইভেন্টটি। তবে ওই আসরটি ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আসর হতে যাচ্ছে। এর কারণ ২০৩৪ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ৪৮টি দল খেলবে।

এই মেগা পরিকল্পনা আগাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম এই প্রাণকেন্দ্র। তারই অংশ হিসেবে সৌদি ক্লাব ফুটবলকে জনপ্রিয় করতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, নেইমার জুনিয়র, করিম বেনজেমার মতো ইউরোপ কাঁপানো তারকাদের মোটা বেতনে নিয়ে আসে তারা।

সম্প্রতি সৌদি কর্তৃপক্ষের আহবানে বিশ্বকাপের জন্য তাদের প্রজেক্ট দেখতে গিয়েছিলেন নেইমার। সেখানে নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে নেইমার সৌদিতে খেলার অভিজ্ঞতা ও থাকার জন্য ভালো জায়গা উল্লেখ করলেও, তিনি আল-হিলালে থাকবেন কি না সেই প্রসঙ্গে অবশ্য কথা বলেননি।

নেইমার বলেন, ‘এখানে (সৌদি আরবে) খেলার সুযোগ পাওয়া এবং এমন দেশে বাস করা মানুষের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি সবসময়ই বলি এখানে আমি অনেক বেশি সম্মান পেয়েছি। আমি অনেক খুশি এবং নিশ্চিত যে এই অভিজ্ঞতা আরও সুখকর হবে। আশা করি অন্য তারকারাও এখানে খেলতে আসবে, এখানে খেলার অভিজ্ঞতা তাদের নেয়া উচিৎ।’

২০৩৪ বিশ্বকাপ প্রজেক্ট দেখে ৩২ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘সৌদি আরবের পুরো আয়োজন দেখে আমি আশ্চর্য্য হয়েছি। বাইরে থেকে আমরা দেশটি সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি লালন করি। কিন্তু এখানে আসার পর সেই ধারণা বদলে যাবে, খুবই ইতিবাচক পরিবেশ, যা আমি পছন্দ করি। তাই অন্যদের উচিৎ সৌদি সংস্কৃতি জানা। এখানে থাকতে পেরে আমি এবং আমার পরিবারও অনেক খুশি। ইতোমধ্যে এখানে আসার এক বছর হয়ে গেছে এবং আমি এখানে স্থায়ী।’

সৌদির পাঁচটি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। এর মধ্যে আটটির অবস্থান সৌদির রাজধানী রিয়াদে। ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছিল সৌদি। বিশেষত ফুটবলে বিশাল বাণিজ্যের বাজার ধরতে তারা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড খুলেছিল। তারই অধীনে নেয়া হয় নেইমার-রোনালদোদের।

সর্বশেষ সংবাদ

বিপদে মৃত্যু কামনা করা কি জায়েজ?

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ