spot_img

জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রয়োজন ছিল না: শিক্ষা উপদেষ্টা

অবশ্যই পরুন

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবি এত সহজ যে এর জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন ছিল না। এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে ক্রয় প্রক্রিয়ায় ‘পিপিএ-২০০৬’ এবং ‘পিপিআর-২০০৮’-এর বিধি-বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণ এবং করণীয় নির্ধারণবিষয়ক সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেরানীগঞ্জে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস করার অনুমতি একনেকে পাস করানো হয়েছে। এখানে ছাত্রাবাস, প্রশাসনিক ভবন, স্কুল, চিকিৎসাকেন্দ্র থাকবে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একটি মেগাপ্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প সেনাবাহিনীর বাস্তবায়ন করা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনেকাংশেই স্বায়ত্তশাসিত। তারা চাইলে ইউজিসির মাধ্যমে করতে পারে। মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো আপত্তি নেই। বরং সহায়তা করবো কিভাবে তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ করিয়ে দেয়া যায়।

প্রসঙ্গত, সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ ৩ দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে শিক্ষাভবন ঘেরাও করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই গণপদযাত্রা শুরু হয়। গণপদযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০০ এর অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো- স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

জানা যায়, গত ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান ও অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে ইউজিসি। এই প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু জবির হলও নেই তাদের জন্য প্রজেক্টও নেই বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

সর্বশেষ সংবাদ

বিপদে মৃত্যু কামনা করা কি জায়েজ?

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ