নিউজিল্যান্ডে সরকারি ও চার্চ পরিচালিত আশ্রয়শিবিরে গত সাত দশকে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা উঠে এসেছে একটি কমিশনের প্রতিবেদনে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টে এই প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। গ্যালারি ভরা ছিল ভুক্তভোগীদের উপস্থিতিতে, যারা দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র ও চার্চের কাছে আশ্রয় নিতে গিয়ে শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৫০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অন্তত ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ এই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রচুর শিশু রয়েছে। নির্যাতনের শিকার হওয়া অধিকাংশই নিউজিল্যান্ডের মাওরি জনজাতি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুদের মায়েদের থেকে জোর করে আলাদা করা, অকারণে দত্তক পাঠানো, ইলেকট্রিক শক দেওয়া এবং যৌন হয়রানির মতো ভয়াবহ ঘটনার কথা উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুকসন পার্লামেন্টে নিজের এবং সাবেক সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর কখনো ঘটতে দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ভয়াবহ ঘটনার জন্য আমরা লজ্জিত। এটি আমাদের অতীতের একটি অন্ধকার অধ্যায়। তবে আমরা শপথ নিচ্ছি, এর পুনরাবৃত্তি আর কখনো হবে না।”
কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।