রুপচর্চা এবং রান্নার মসলা হিসেবে মেথি বেশ জনপ্রিয়। সুগন্ধের জন্য অনেকেরই পছন্দ পাঁচফোড়নের অন্যতম এই উপাদান মেথি। মেথির অসাধারণ সব পুষ্টিগুন রয়েছে।
উচ্চরক্তচাপ কমাতে মেথি ভেজানো পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়। শুধু তা–ই নয়, নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি খেলে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হবে। ফলে সহজে ওজন বাড়ে না।
মেথির বীজে আছে গ্লুকোমেনান নামক ফাইবার, যা খাদ্যের সঙ্গে গ্রহণকৃত চিনি অন্ত্রে শোষণপ্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। ফলে মেথি ভিজানো পানি ডায়াবেটিস, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও কোষ্ঠকাঠিন্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মেথির পানি পানি তৈরি করতে দুই চা–চামচ বীজ ভালোভাবে ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালে খালি পেটে এই পানি করে পান করতে হবে।
মেথির বীজে সহজে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। এটি পরিপাকতন্ত্রে খাবারের চলাচল সহজ করার মাধ্যমে হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
মেথির বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এই পানি নিয়মিত পান করা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
মেথির বীজে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য
মেথির বীজ ভেজানো পানিতে থাকা ফাইবারের কারণে অনেকক্ষণ ধরে পেট ভরা অনুভূত হয়। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু করে।
মেথির বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এই উপাদান যা ত্বকের ব্রণ বা দাগ কমাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি
মেথির বীজে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা
প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস মেথির বীজ। এই উপাদানগুলো চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মেথি বীজের পানি পান করলে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। এবং একইসঙ্গে চুল পড়া কমে।