ব্যাটসম্যানদের কান্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের কারণে প্রথম ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শারজায় আজ সেই ব্যাটসম্যানরাই যেন কিছুটা শাপ মোছন করলেন। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৪০-২৬০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করালেই লড়াই হয় হাড্ডাহাড্ডি। নাজমুল হোসেন শান্তর দল থেমেছে ২৫২ রানে। শেষবেলায় নাসুম আহমেদ ও জাকের আলি অনিকের ব্যাটেই লড়াইয়ের পুঁজি জুটেছে।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকে দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য। দলীয় ২৮ ও ব্যক্তিগত ২২ রানে গজানফরের বলে নবির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। এরপর অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়েন সৌম্য।
ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানের লেগ বিফোরের শিকার হন সৌম্য সরকার। আউট হবার আগে তিনি করেন ৩৫ রান। দুই ওপেনার প্যাভিলিয়নে ফিরলে নতুন জুটি গড়েন শান্ত-মিরাজ। মেহেদী মিরাজকে ফিরিয়ে দিয়ে দুজনের ৫৩ রানের জুটি ভাঙেন রশিদ খান। ব্যক্তিগত ২২ রানে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটও হাসেনি এদিন। দুজনকেই সাজঘরের পথ দেখান নাঙ্গেলিয়া খারোতে। আউট হবার আগে করেন যথাক্রমে ১১ ও ৩ রান।
একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক শান্ত। তবে ক্যারিয়ারের নবম অর্ধশতককে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৭৬ রানে খারোতের বলে নবির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন শান্ত।
শেষদিকে নাসুম আহমেদ খেলেন ২৪ বলে ২৫ রানের ইনিংস। এছাড়া অভিষিক্ত জাকের আলীর ব্যাটে আসে ৩৭ রান। শেষ পর্যন্ত ২৫২ রানে থামে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের পক্ষে ২৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন নাঙ্গেলিয়া খারোতে। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান রশিদ খান ও গজানফর।