গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ৬০০’র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, যে সব গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে সব ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। রাজনৈতিক কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গুম করা হয়েছে।
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতি পরিশুদ্ধ না হলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। সৎ ও দক্ষ লোকেরা রাজনীতি পরিশুদ্ধ করতে পারে।
মইনুল ইসলাম বলেন, অনেক লোককে কোনো মামলা ছাড়া বেআইনিভাবে পুলিশের কাছে রাখা হয়েছে। এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। যাদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত কমিশন কেন নয়: হাইকোর্টের রুল
আয়নাঘরের বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে আয়নাঘরের সৃষ্টি হয়েছে।
গুমের সঙ্গে বাহিনীর কতজন সদস্য সংশ্লিষ্ট, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেই সংখ্যাটা এখনো বলা যাবে না। ৭ তারিখ থেকে বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। আমরা সমন ইস্যু করে দিয়েছি।