spot_img

বকেয়া বেতনসহ ১০ দাবিতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

অবশ্যই পরুন

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০২৩ এর বিধিমালা, প্রবিধিমালা ও অর্গানোগ্রামে ৭৪টি এমপিওভূক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় সমূহ অন্তর্ভূক্ত করাসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভূক্তভোগী ৭৪টি এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশেষ শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে আয়োজিত এ মনববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৭ সালের বেতন বকেয়া রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে কয়েকবার আবেদন করা হলেও ওই দুই বছরের বর্ধিত বকেয়া বেতন-ভাতা শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো পাননি। এদিকে সরকারি বিধান অনুযায়ী, ১০ বছর চাকরি করার পর পদোন্নতি না হলে একটি সিলেকশান গ্রেড পাওয়া যায় এবং ১৬ বছরে আরেকটি সিলেকশান গ্রেড পাওয়া যায়। কিন্তু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো কোনো সিলেকশান গ্রেড পাননি।

মানববন্ধন থেকে বিশেষ শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে ভুক্তভোগী ৭৪টি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ১০টি দাবি জানায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০২৩-এর বিধিমালা, প্রবিধিমালা ও অর্গানোগ্রামে ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; বিএসএড পাশ করা শিক্ষকদের প্রাপ্য ন্যায্য ধাপে বেতন-ভাতা দিতে হবে; ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বকেয়া বেতন-ভাতা দিতে হবে; এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী পেনশন ও গ্র্যাচুইটি দিতে হবে এবং শূন্যপদে ও সৃষ্ট পদে নিয়োগ দিতে হবে; পদোন্নতি, টাইম স্কেল প্রদান, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।

এর আগে গেন্ডারিয়া বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক ও রমনা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. ওমর ফারুক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকাসহ সারাদেশের ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ কার্যকর হলেও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে এটি কার্যকর হয় ২০১৮ সালে।

প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে বেতন স্কেল-২০১৫ পরে কার্যকর হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ সালের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে কয়েকবার আবেদন করা হলেও ওই দুই বছরের বর্ধিত বকেয়া বেতন-ভাতা শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো পাননি। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো কোনো সিলেকশন গ্রেডও পাননি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে ভুক্তভোগী ৭৪টি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১০টি দাবি জানানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০২৩-এর বিধিমালা, প্রবিধিমালা ও অর্গানোগ্রামে ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা; বিএসএড পাস করা শিক্ষকদের প্রাপ্য ন্যায্য ধাপে বেতন-ভাতা দেওয়া; ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বকেয়া বেতন-ভাতা দেওয়া; এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী পেনশন ও গ্র্যাচুইটি দেওয়া এবং শূন্য ও সৃষ্ট পদে নিয়োগ দেওয়া; পদোন্নতি, টাইম স্কেল দেওয়া, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়ন; এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির ব্যবস্থা করা।

সর্বশেষ সংবাদ

বিপদে মৃত্যু কামনা করা কি জায়েজ?

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ