spot_img

আমি পোলার্ড বা রাসেল নই : মুশফিক

অবশ্যই পরুন

দল যখন ভীষণ চাপে তখন মাঠে নেমেছিলেন মুশফিক। দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে দুটি দিক থেকে। এক, উইকেট রাখতে হয়েছে অক্ষত, দুই, রানের চাকা সচল রাখা। দুটিতে সমন্বয় করেছেন ভালোমতো। খেলেছেন ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। বল খরচ করেছেন ৮৭টি। একটু ধীর গতির ইনিংস বলতে পারেন অনেকে। মুশফিক মনে করেন তিনি বিগ হিটার নন, দ্রুত রান তোলার পথ তাকেই আবিষ্কার করতে হয়।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৩ রানের জয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমি বিশালদেহী কেউ নই, সহজে বাউন্ডারি মারতে পারি না। আমি পোলার্ড বা রাসেল নই। নিজের শক্তির জায়গায় থাকার চেষ্টা করি। কন্ডিশনও আমাকে সুযোগ দেয়নি খুব বেশি বাউন্ডারি মারার। তাই সময় নিয়েছি, আস্তে আস্তে রান বাড়িয়েছি। একটা প্রান্ত নিরাপদ রাখতেও হতো আমাকে। সেটা করেছি। রিয়াদ ভাইও সঙ্গ দিয়েছেন। আফিফ ও সাইফের ফিনিশিং টাচ ছিল দুর্দান্ত।’

পরিস্থিতির দাবি মিটিয়েই তিনি ব্যাট করার চেষ্টা করেছেন। মিরপুরের উইকেট ব্যাট করা খুব সহজ ছিল না বলেও জানান তিনি, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য এই উইকেট খুব সহজ নয়। শুরুতে লিটন ও সাকিবকে হারিয়ে আমরা একটু চাপে ছিলাম। তবে তামিম ওই সময় খুব ভালো ব্যাট করেছে, যে কারণে আমি সময় নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছি। রিয়াদ ভাইও খুব ভালো ব্যাট করেছেন। সব মিলিয়ে এটা ভালো ম্যাচ ছিল, কারণ লম্বা সময় পর আমরা ঘরের মাঠে ওয়ানডে ম্যাচ খেলছি।’

কন্ডিশনও ছিল প্রতিকূলে। প্রচণ্ড গরমে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন ছিল ব্যাটসম্যানদের। তার মতে, ‘সত্যি বলতে, এটা ক্রিকেটের জন্য আদর্শ কন্ডিশন নয়। শুধু গরমই নয়, ভেতর থেকে অনেক কিছুই শুষে নেয় এটা। প্রচণ্ড আর্দ্রতা, অনেক ঘাম ঝরে। প্রতিটি বলে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। তবে আমাদের ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব, তারা খুব ভালো সামলেছে। বিশেষ করে বোলাররা। মিরাজ অসাধারণ ছিল, মোস্তাফিজ ও সাকিবও সঙ্গ দিয়েছে তাকে।’

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ