শ্রীলংকা থেকে দেশে ফিরে ভ্রমনবিধি মেনে ক্রিকেটারদের মতো টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনকে থাকতে হয়েছিল হোম কোয়ারেন্টিনে। হোম কোয়ারেন্টিন শেষে দলের অনুশীলনের খোঁজ-খবর নিতে সশরীরে এসেছেন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।
২৩ মে থেকে সিরিজ শুরুর আগে চারবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা দিতে হবে, ক্রিকেটারদের সাথে সেই রুটিন পরীক্ষা দিয়েছেনও। ১৮ মে থেকে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে হোটেল সোনারগাঁয়ে ওঠার কথা ছিল তার।
তবে ঈদ উল ফিতরের ছুটির পর দলের সঙ্গে আর যোগ দেননি,আসেননি মাঠে, হোটেল সোনারগাঁয়ে করেননি চেক আপ।তার এই অনুপস্থিতির কারণটা অন্য। কোভিড-১৯ এর উপসর্গ ছিল না। তবে সন্দিহান ছিলেন নিজেই। নিশ্চিত হতে শুক্রবার করিয়েছিলেন টেস্ট। শনিবার রিপোর্টে পজিটিভ এসেছে। ফলে নিজ থেকেই বাসায় আইসোলেশনে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দলনেতা খালেদ মাহমুদ সুজন।
তবে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার ক’ঘন্টার মধ্যেই পরবর্তী পরীক্ষার রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে। শনিবার কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছেন রাতে, সেই রিপোর্টে নেগেটিভ আসায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
তবে জৈব সুরক্ষায় অনুষ্ঠেয় এই সিরিজে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (২৩ মে সকাল ৭টা ৩৫মি.) টিম হোটেলে ওঠেননি। দলের সঙ্গে দেননি যোগ।এমনিতেই দলে কোচিং স্টাফের ৪ জন অনুপস্থিত। তা নিয়ে এমনিতেই দুশ্চিন্তায় পড়েছে বিসিবি। তার উপর যার হাতে টিম লিডারের দায়িত্ব দিয়ে নির্ভার ছিল বিসিবি, সেই পরিশ্রমী পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনকে ডাগ আউটে,ড্রেসিং রুমে,টিম মিটিংয়ে পাচ্ছে না তামিমরা।
ক্রিকেটারদের মোটিভেটর খ্যাত খালেদ মাহমুদ সুজনের এই পদে অন্য কাউকে আপাততঃ দিচ্ছে না বিসিবি।নির্ভরশীল এক সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।