গুণীজনদের হাতে স্বাধীনতা পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ পুরস্কার দেন তিনি।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জন মরণোত্তর এ পুরস্কার পান। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হলো। তারা হলেন- এ কে এম ফজলুর রহমান, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আহমেদ, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
অন্যরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মুন্ময় গুহ নিয়োগী, সাহিত্যে মহাদেব সাহা, সংস্কৃতিতে আতাউর রহমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সমাজ সেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।
এছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অবদান রাখায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।
মরহুম বজলুর রহমানের পক্ষে তার স্ত্রী শাহানারা বেগম, আহসান উল্লাহ মাস্টারের পক্ষে তার ছেলে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আহমেদের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর পক্ষে তার ছেলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
জীবিতদের মধ্যে কবি মহাদেব সাহার অনুপস্থিতিতে তার ছেলে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেন। ডক্টর মৃন্ময় গুহ নিয়োগী, আতাউর রহমান গাজী, মাজহারুল আনোয়ার এবং ডক্টর আমজাদ হোসেন নিজে উপস্থিত থেকে পুরস্কার নেন। কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক পুরস্কার গ্রহণ করেন।
গত ২৪ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৪ মার্চের অনুষ্ঠান স্থগিত করে ১১ এপ্রিল নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। একই কারণে ১১ এপ্রিলের অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হয়।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার। স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, তিন লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।