আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েলের হামলায় অনেকটাই নীরব ভূমিকা পালন করছে। দুপক্ষের লড়াইয়ের নিন্দা আর সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েই যেন তাদের দায়িত্ব শেষ। অথচ মুসলিম দেশগুলো শক্ত অবস্থান নিতে পারলেই ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষদের শক্তি অনেক বেড়ে যেত।
ফিলিস্তিনিদের দুঃখ যেন আরব বিশ্বের চোখেই পড়ছে না। রাজনীতি, ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গেছে শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলো। এ ক্ষেত্রে অন্যতম সৌদি আরব। ফিলিস্তিনের পাশে সৌদির মতো একটি দেশ শক্ত অবস্থান নিলেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যেত। কিন্তু তারাও ভিন্ন পথেই হাঁটছে। নিন্দা প্রকাশ করেই ক্ষান্ত তারা।
গত মঙ্গলবার সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফরহান বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতের কারণে পুরো অঞ্চলকে ভুল পথে ধাবিত করছে। তিনি সামরিক সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বিন ফারহান বলেন, ‘এটা আমাদের সবাইকে ভুল পথে পরিচালিত করছে। এর অর্থ হলো আমাদের টেকসই শান্তির দিকে যাত্রার পথ আরও কঠিন হয়ে উঠছে।’
টানা নয় দিন ধরে গাজায় সংঘাত চলছে। এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২১৮ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৩ জনই শিশু। অপরদিকে দুই শিশুসহ ইসরায়েলের ১২ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৪৫০টি ভবন ধ্বংস বা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৫২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত ৫৮টি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণসহায়তা বিষয়ক সমন্বয়ক জেনস লায়েরকে জানিয়েছেন।