ভারতীয় উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় তকতে। আরব সাগরে সৃষ্ট মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় তকতের আঘাতে গাছপালা উপড়ে গেছে, মোবাইল টাওয়ার ধসে পড়েছে। এছাড়া খুঁটি উপড়ে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এদিকে মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় তকতের আঘাতে ২৭৩ জন আরোহী নিয়ে একটি নৌযান মুম্বাই উপকূলে ডুবে যায়। পরে নৌযানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১২৭ জন নিখোঁজ হন।
সুপার সাইক্লোন তকতের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। ঘূর্ণিঝড় আর বৃষ্টিতে ভূমিধস হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে পানিতে তলিয়ে গেছে। খবর আরব নিউজের।
নিখোঁজ ১২৭ জনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ। একদিকে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় অন্য দিকে করোনার থাবায় দিশেহারা ভারতে এমন সুপার সাইক্লোনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে করোনা মোকাবিলায় গৃহীত সব পদক্ষেপ।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গুজরাটে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে দুই লাখের বেশি মানুষকে। এছাড়াও কয়েকটি বন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে – বিগত ৩০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় গুজরাটে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া দমকা বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
এ কারণে সেখানে ভূমিধস দেখা দেয়। গুজরাটের উপকূলীয় শহর দিউয়ের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ ফুট পর্যন্ত বেড়েছিল। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার।