ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে আল-জাজিজার ডকুমেন্টরিকে অর্থহীন বলে অভিহিত করেছে আইসিসি। তিন বছরের তদন্ত শেষে, বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটির দুর্নীতি বিষয়ক কমিটি, আকসু। তবে, আল জাজিরা থেকে যদি উপযুক্ত প্রমাণ দেয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তা আবারও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
২০১৮ সালের ২৭ মে, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরপরই এক বোমা ফাটে অনলাইনে। ক্রিকেট ম্যাচে ফিক্সিং নিয়ে এক ডকুমেন্টরি প্রকাশ করা হয় আল-জাজিরার ইউটিউব প্লাটফর্মে। মুহূর্তেই যা ছড়িয়ে পড়ে পুরো নেটিজেনদের মধ্যে। শুরু হয় আলোচনা, সমালোচনা।
সেখানে দাবি করা হয়, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত দুটি টেস্টে স্পট ফিক্সিং করেন ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। ‘ক্রিকেটস ম্যাচ ফিক্সারস’ নামে সে ডকুমেন্টরিতে কোনো ক্রিকেটারের নাম বলা না হলেও, আভাস দেয়া হয় স্টার ক্রিকেটাররাই জড়িত ছিলেন ফিক্সিং কাণ্ডে।
স্বাভাবিকভাবেই সে ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইসিসি। ডাক পরে বিসিসিআই, ইসিবি এবং সিএ’র তৎকালীন কর্মকর্তা, মাঠ কর্মী, ক্রিকেটার সবার। চারজন স্বতন্ত্র তদন্তকারীর হাতে তুলে দেয়া হয় ঘটনা দেখভালের দায়িত্ব।
গত তিন বছর ধরে প্রতিটি ফুটেজ এবং টেস্টের আদ্যোপান্ত খতিয়ে দেখেন আকসু এবং আইসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। অভিযোগের তীর যে ক্রিকেটারদের ওপর ছিল, জবাবদিহি চাওয়া হয় তাদের কাছেও। দেখা হয় প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাও।
কিন্তু, তিন বছর পর পুরো ডকুমেন্টরিটিকে অনর্থক বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের মতে, ম্যাচের প্রতিটি অংশ অনেক বেশি অনুমিত। এখানে ফিক্সিংয়ের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এমনকি অভিযোগগুলোর ভিত্তিকেও মজবুত নয় বলে দাবি করছে আইসিসি।
পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় আপাতত এ বিষয়ে আর কোনো তদন্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। মূলত বিশ্বাসযোগ্যতায় ঘাটতি থাকার কারণেই এ সিদ্ধান্ত বলে নিশ্চিত করেছেন আইসিসির ইন্টেগ্রিটি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল।
তবে, আল জাজিরার কাছ থেকে পরবর্তীতে আরও প্রমাণ এবং তথ্য পাওয়া গেলে, আবারো তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে আকসু।