ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ নিয়ে টানা ৮দিনের মতো দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০০ ছাড়িয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় দুটি স্কুল উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের রাখার প্রস্তুতি চলছিল। জাতিসংঘকে ইসরায়েল তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে অবহিত করেছে বলে সোমবার (১৭ মে) সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আরাবি২১নিউজের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ঘনবসতিপূর্ণ পশ্চিম গাজায় অবস্থিত আল আকসা ও আল বোরাক স্কুলে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যম বলছে, হামলার হুমকিটি খুবই মারাত্মক, কেননা সেখানে ইসরায়েলি বর্বরতায় বাস্তুচ্যুতদের রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলের সর্বাত্মক সন্ত্রাসী হামলার মধ্যেই দেশটিকে আরও অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে প্রায় ৭৩.৫ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
অন্যদিকে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ বন্ধে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ফিলিস্তিনের হামলা থেকে বাঁচতে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।
চলমান এ সহিংসতা থামাতে রোববার (১৬ মে) জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল বৈঠকে বসেছিল। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত বন্ধের আহ্বান সংবলিত ঘোষণা দেওয়ার লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তৃতীয় বৈঠকটিও ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে রুদ্ধদ্বার দুটি বৈঠকও ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ বৈঠকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষকে জীবিত ও মৃত উদ্ধারে ইসরায়েলের সঙ্গে সাময়িক অনুমতির চুক্তিতেও পৌঁছাতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদ।