করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ভারত। এর মধ্যে মরার ওপর খড়ার ঘাঁ ঘূর্ণিঝড় টাউটি। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আরব সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে গুজরাট উপকূলের দিকে।
ঝড়টি ‘মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নিতে যাচ্ছে বলে সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। মঙ্গলবার (১৮ মে) নাগাদ গুজরাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় এরইমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে বাসিন্দাদের।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরইমধ্যে কেরালাসহ বিভিন্ন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দেখা দিয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। তলিয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি। বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় কেরালায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বহু এলাকা।
কেরালা, কর্ণাটক ও গোয়ার উপকূলের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির আশঙ্কায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে উপকূলের বাসিন্দাদের। জরুরি সহায়তার জন্য খোলা হয়েছে কয়েকশ’ অস্থায়ী শিবির।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গুজরাট, কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ৫০ টিরও বেশি দল মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরি উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিমান বাহিনীর ১৬টি বিমান ও ১৮টি হেলিকপ্টার।
এছাড়া, বাড়তি সতর্কতার জন্য নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি ইউনিটকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘টাউটি’র নাম দিয়েছে মিয়ানমার। যার অর্থ টিকটিকি।