গত কয়েকদিন ধরেই চলছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ। গত সোমবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ আজও চলছে এবং গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪০টি শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯৫০ জন। গাজা উপত্যকায় বেসামরিক ও আবাসিক স্থাপনা টার্গেট করে বেপরোয়া হামলার ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী এবার মিডিয়া হাউসগুলোর কার্যালয় ভবনেও হামলা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজায় দুই সেকেন্ডে একটি বহুতল ভবন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
ভবনটি গুড়িয়ে দিয়ে ইসরাইলের বিমানবাহিনী বলছে, এটি হামাসের সম্পতি ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এটি গোয়েন্দা কাজে ব্যবহার করত হামাস।
বিবিসি জানিয়েছে, ওই ভবনটিতে আলজাজিরা ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) অফিস ছিল। পাশাপাশি সেটি আবাসিক ভবন হিসেবেও ব্যবহার করা হত। হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছি কিনা, তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
ইসরাইলের বিমান বাহিনী টুইট করে জানায়, ওই বহুতল ভবনটি মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হত।
ছবিতে দেখা যায়, বোমা হামলার পর ভবনটি মাটিতে ভেঙে পড়ছে। ভবনটির ধ্বংসস্তূপ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভবনটিতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ব্যুরোও কার্যালয় ছিল। ঘণ্টাখানেক আগে এটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। ভবনটিতে অফিস ও অ্যাপার্টমেন্ট থাকার বিষয়ে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়েছে, তারা বলছে, সেখানে হামলার আগে সতর্ক করা হয়েছে।
গাজার অফিসটিতে ১১ বছর ধরে কাজ করা আলজাজিরার সাংবাদিক সাফাওয়াত আল খালুত তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, দুই সেকেন্ডের মধ্যেই ভবনটি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। তিনি বলেন, আমি ১১ বছর ধরে সেখানে কাজ করছি। আমি অনেক ঘটনা ভবনটি থেকে কাভার করেছি, আমরা ব্যক্তিগত পেশাদার জীবন যাপন করেছি, দুই সেকেন্ডের মধ্যে এখন সবকিছুই হারিয়ে গেল।