গাজা ভূ-খণ্ডে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা তীব্র আকার নিয়েছে। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে পরিস্থিতি একটা পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে। এদিকে ইসরায়েলি হামলার প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের হামাস সশস্ত্র গোষ্ঠীর ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টিতে ইসরাইলের মাকড়সার জাল ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি।
বুধবার(১২ মে) তিনি এক টুইট বার্তায় এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে আয়রন ডোম কাজে আসেনি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আলী শামখানি আরও বলেন,ফিলিস্তিনের বিপ্লবী তরুণরা নিরাপত্তা সংক্রান্ত হিসাব-নিকাশ বদলে দিয়েছে। তারা যুদ্ধের ময়দানকে দখলদারদের প্রাণকেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে।
পবিত্র আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি হামলা ও উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে গাজা থেকে দখলদার ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে বিদ্রোহীরা। এর ফলে ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ফিলিস্তিনি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম পার্সটুডে।
আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ইহুদিরা জায়গাটিকে তাদের নিজেদের উপাসনালয় হিসেবে দাবি করে। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। এরপর ১৯৮০ সালে পুরো জেরুজালেম তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যা এখনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে স্বীকৃতি পায়নি।
এদিকে গাজায় “অযৌক্তিক এবং অতিরিক্ত শক্তি” প্রয়োগ করায় ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী বারবার আল-আকসা মসজিদে সহিংস অভিযানের সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অপরিকল্পিত এবং বেআইনিভাবে শক্তি মোতায়েন করেছে এবং শেখ জারারাহ-তে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর অকারণে হামলা চালিয়েছে।