গাজা ভূ-খণ্ডে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা তীব্র আকার নিয়েছে। এদিকে গাজায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এটি কেবল শুরু। আমরা তাদের এমনভাবে আঘাত করব, যা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি।
তিনি বলেন, আমরা সামরিক অভিযানের মধ্যবর্তী অবস্থায় রয়েছি। হামাস ও ইসলামী জিহাদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা অরাজকতা বন্ধ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ইসরায়েলের শহরগুলোতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঠেলে সাজানো হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও নির্মমভাবে ও নৃশংস উপায়ে সমস্ত বাহিনী দিয়ে এই অরাজকতা বন্ধ করা হবে।’
হামাস-ইসরায়েল লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলা চলছে। সোমবার (১০ মে) দিনগত রাত থেকে এ পর্যন্ত ১৪ শিশু ও এক নারীসহ ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামাস মুখপাত্র ফাওয়াজ বারহুম বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের নাগরিকদের ওপর জায়নবাদীদের আগ্রাসন বন্ধ না হবে, ততদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা, বিশেষ করে হামাস প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। দখলদার বাহিনী গাজা, জেরুজালেম ও আল-আকসাকে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।-খবর আরব নিউজের
জেরুসালেমের একটি এলাকায় ইসরায়েলি পুলিশ এবং ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের জেরে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বিরাজ করার পর এই লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়েছে।
আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ইহুদিরা জায়গাটিকে তাদের নিজেদের উপাসনালয় হিসেবে দাবি করে। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। এরপর ১৯৮০ সালে পুরো জেরুজালেম তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যা এখনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে স্বীকৃতি পায়নি।
এদিকে গাজায় “অযৌক্তিক এবং অতিরিক্ত শক্তি” প্রয়োগ করায় ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী বারবার আল-আকসা মসজিদে সহিংস অভিযানের সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অপরিকল্পিত এবং বেআইনিভাবে শক্তি মোতায়েন করেছে এবং শেখ জারারাহ-তে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর অকারণে হামলা চালিয়েছে।