পিএসজিতে মন মজেছে নেইমারের। ফরাসি জায়ান্টদের সঙ্গে ইতিমধ্যে চুক্তিও নবায়ন করে নিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
প্যারিসে আসার আগে নেইমার খেলতেন বার্সেলোনায়। যেখানে তিনি সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন লিওনেল মেসিকে। আর অন্যতম প্রতিপক্ষ ছিল তখনকার রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
মেসির সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা ক্যাম্প ন্যুয়ে থাকতে হয়েছে নেইমারের। তবে প্যারিসে আসার এক মৌসুম পর ফের কাতালোনিয়ায় ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই ইচ্ছে অবশ্য নেইমারকে বিসর্জন দিতে হয়েছে। আর এখন তো পিএসজি নিয়েই তার সব স্বপ্ন-ধ্যান।
তবে মেসি-নেইমারের পুনরায় একই জার্সিতে খেলার গুঞ্জন কিন্তু ডালপালা মেলছেই। বার্সার সঙ্গে চলতি মৌসুম শেষে চুক্তি শেষ হচ্ছে এলএম টেনের। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে ওপর সারিতে আছে দুটি দলের নাম— ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজি। সিটিতে গেলে সাবেক গুরু পেপ গার্দিওলাকে পাবেন তিনি। আর পিএসজিতে গেলে ফের একই জার্সিতে দেখা যাবে মেসি-নেইমারকে।
কেবল মেসির নয়, জুভেন্টাস ছেড়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালেদোরও পিএসজিতে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। আর নেইমারও জানালেন, সিআর সেভেনের সঙ্গে খেলতে চান তিনি।
তুরিনে রোনালদোর ভবিষ্যৎ এখন শঙ্কায়। আগামী মৌসুমের জন্য জুভদের চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট এনে দিতে ব্যর্থ হলে এই মৌসুম শেষে তুরিনের বুড়িদের সঙ্গে তার সম্পর্কের ইতি ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে পর্তুগিজ উইঙ্গারের পরবর্তী ঠিকানা হতে পারে পার্ক দে প্রিন্সেস। আর সব গুঞ্জন যদি সত্যি হয়, তবে একই জার্সিতে দেখা যাবে আধুনিক ফুটবলের তিন মহারথী রোনালদো-মেসি-নেইমারকে। এমনটা তাদের ভক্তরা কল্পনা করার পাশাপাশি স্বপ্নেও দেখতে পারেন। কিন্তু গুঞ্জন সব সময় সত্যি হয় না।
তবে নেইমারের ইচ্ছে রোনালদোর সঙ্গে খেলার। জিকিউ ফ্রান্সকে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার বলেন, ‘আমি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে খেলতে চাই। আমি ইতিমধ্যে দুই সেরা খেলোয়াড় মেসি ও (কিলিয়ান) এমবাপ্পের সঙ্গে খেলেছি। তবে আমি এখনো রোনালদোর সঙ্গে খেলিনি।’
সময়ের দুই সেরা খেলোয়াড় হলেও দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি মেসি-রোনালদো। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চান নেইমার, ‘আমি বিশ্বকাপ জিততে চাই। এটা সব সময় আমার জন্য বিশাল এক স্বপ্ন। তবে আমি পিএসজির হয়েও সবকিছু জিততে চাই। আমার বয়স এখন প্রায় ৩০ বছর এবং ব্যক্তিগত লেভেলে আমার ভালো ক্যারিয়ার আছে।’