বিশ্বব্যাপী চলতে থাকা মহামারী কোভিড-১৯ কেড়ে নিয়েছে নানা প্রাণ, অজস্র মানুষকে করেছে কর্মহীন। বাংলাদেশের এর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাটা অনেকটাই বেশী। মহামারীটিতে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এ পরিস্থিতিতে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে নিজেদের জায়গা থেকে এগিয়ে আসছে অসংখ্য সংগঠন, বাদ যায়নি জেসিআই ঢাকা ওয়েষ্ট। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে খেটে খাওয়া এ জনগোষ্ঠীর কিছু পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে আয়োজন করা হয়েছে “শেয়ারিং হ্যাপিনেস” নামে একটি উদ্যোগ।
আধুনিক ঢাকার কিছুটা অদূরে হাজারীবাগ থানার অধীনে ঝাউচরের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর এলাকাটি গড়ে উঠেছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেষেই। অত্র এলাকার বেশিরভাগ পুরুষদের পেশা রিকশা, ভ্যান চালনা, দিনমজুরিসহ বিভিন্ন নির্মাণকাজে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করা এবং মহিলাদের কাজ বালি আনা নেয়ায় জোগালি, ইট ভাঙ্গা, টাইলসে পুটিং লাগানো থেকে শুরু করে বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ। এখানকার বাচ্চাদের ৬০ শতাংশ স্কুলে পড়ে কিন্তু এদের বেশিরভাগ ৭ম শ্রেণী এর বেশী পড়ার সুযোগ পায়না, তার আগেই ঝড়ে পড়ে। শেয়ারিং হ্যাপিনেস উদ্যোগটি দিয়ে জেসিআই ঢাকা ওয়েষ্ট প্রাথমিকভাবে পাশে দাড়িয়েছে এই জনগোষ্ঠীর পাশে। হাজারিবাগ, উত্তরার বিভিন্ন এলাকা মিলে ২০০ এর অধিক পরিবারকে ঈদের আগে দুই সপ্তাহের বাজারের সাহায্য করা হয়েছে শেয়ারিং হ্যাপিনেস প্রজেক্ট থেকে।
গত সোমবার হাজারীবাগ ঝাউচর এলাকার হাজী আব্দুল আউয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেয়ারিং হ্যাপিনেস এর ত্রাণ প্রদান কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান প্রিন্স ও সাফি ইমন, জেসিআই ঢাকা ওয়েষ্ট এর প্রেসিডেন্ট ত্বহা ইয়াছিন রমাদান, ইভিপি মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল, জিএলসি নূর মোহাম্মাদ আলী ট্রেজারার কাজী ফারহানা, ডিরেক্টর মাহমুদুর রহমান ইমরান, কার্যক্রমটির সমন্বয়ক কাজী আবু সাঈদ সহ আরো অনেকে।