আগামী জুলাই মাসের মধ্যে দেশের এক কোটি ৩০ লাখ মানুষকে ইরান টিকা দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি জানান, ইরান নিজেই অভ্যন্তরীণভাবে কয়েক রকমের টিকা তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
রোববার ইরানের অর্থনৈতিক সমন্বয় বিষয়ক দফতরে এক বৈঠকে রুহানি একথা বলেন। ইরানি প্রেসিডেন্টের কথায়, আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এক কোটি ৩০ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হবে।
রুহানি বলেন, কোভিড-১৯ টিকা তৈরির ক্ষেত্রে বড় শক্তিতে পরিণত হতে চায় ইরান। তবে দেশের জনগণের জীবন বাঁচানোর জন্য একই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আমদানিও করবে তেহরান।
তিনি বলেন, টিকা তৈরি ও তা সরবরাহ করার প্রক্রিয়া খুব সহজ নয়। টিকা আমদানির ক্ষেত্রে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরানের সামনে বাধা সৃষ্টি করছে। তবে এ জটিলতা কাটিয়ে সঠিক সময়েই মানুষের কাছে টিকা সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
করোনা মহামারিতে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইরান। মহামারি মোকাবিলায় আরও ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হলে তা দেশটির প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে করোনা মোকাবিলায় টিকাদান কর্মসসূচি শুরু করে ইরান। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় এনেছে রুহানি প্রশাসন। তাদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক মানুষ।
করোনার টিকা প্রযোগের জন্য দেশটি রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ফাইভ, যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চীনের সিনোফার্মের টিকা এবং ভারতের কোভ্যাক্সিন টিকা ব্যবহার করছে।
সোমবার (১০ মে) দুপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৯১০ জনে।
এছাড়া গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১৪১ জন। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় আকওান্ত মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬ লাখ ৫৫ হাজার।
সূত্র: ব্লুমবার্গ