মৌসুমজুড়ে একরাশ হতাশা তাড়া করে বেড়াচ্ছে জুভেন্তাসকে। শেষ দিকে এ হতাশাটা রীতিমতো শঙ্কাতেই রূপ নিয়েছে। এসি মিলানের কাছে ৩-০ গোলে হারের ফলে সিরি’আ টেবিলের পাঁচে নেমে গেছে দলটি, ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়েই টানাটানি লেগে গেছে দলটির। শীর্ষ চারে ফিরতে না পারলে আগামী মৌসুমে জুভেন্তাসকে নাও দেখা যেতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।
জানুয়ারিতে দুই দলের প্রথম দেখায় ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল জুভেন্তাসই, সেটাও মিলানের মাঠ সান সিরোও। সোমবার রাতে যেমন খেলেছেন রোনালদোরা তাতে সে ম্যাচকে অচেনা এক স্মৃতিই ঠেকার কথা জুভেন্তাসের।
শুরু থেকে বলের দখলে থাকলেও সুযোগ তেমন সৃষ্টিই করতে পারছিলেন না রোনালদোরা। ৩০ মিনিটে একটা সুবর্ণ সুযোগ হারান জর্জো কিয়েলিনি। বিরতির আগে গোল হজম করে জুভেন্তাস। ফ্রি কিকটা ঠিকঠাক বিপদমুক্ত হয়নি, ব্রাহিম ডিয়াজ নেন সে সুযোগটা। জুভেন্তাস রক্ষণের বাধা এড়িয়ে ডান পায়ের দারুণ এক শটে গোল করেন।
বিরতির পর ফিরে এসে সমতা ফেরানোর সুযোগ খুঁজছিল জুভেন্তাস। ৪৮ মিনিটে জিয়ানলুইজি ডনারুমার দারুণ এক সেভে বঞ্চিত থাকে দলটি। ৫৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেলেও মিলানের ফ্র্যাঙ্ক কেসি সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি।
তবে ৭৮ মিনিটে ঠিকই ব্যবধান বাড়ায় মিলান। সতীর্থের পাস থেকে জোরালো শটে গোল পান আন্তে র্যাবিচ। ৮১ মিনিটে তোমোরির গোল আরও বড় ব্যবধানের হার নিশ্চিত করে জুভেন্তাসের।
শিরোপার আশা শেষ আগেই। এবার জুভেন্তাসের লক্ষ্য শীর্ষ চার। তবে এই হারের ফলে তালিকার পাঁচে নেমে যাওয়া দলটির পক্ষে পথটা খুব কঠিন। শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করতে হলে নিজেদের তিন ম্যাচে তো জিততে হবেই, অমঙ্গল কামনা করতে হবে অন্যদেরও। যদি তা না হয়, তাহলে আগামী মৌসুমে রোনালদোকে দেখা যাবে ইউরোপা লিগে!