spot_img

শেখ হাসিনা তার পিতার মতোই দেশকে ভালোবাসেন: ওবায়দুল কাদের

অবশ্যই পরুন

পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিব শেখ হাসিনার রাজনীতির গুরু। পিতার মতই ভালবাসেন দেশের মানুষকে। তাই গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে শত বাধা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে এসেছিলেন বলেই সেদিন জনগণের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিয়ে সরে যেতে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৭ মে) বিকেলে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আজকের এই দিনটি স্মরণ করে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ মে বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের কাছে একটি স্মরণীয় দিন।

২০০৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তত্বাধায়ক সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থা চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দিশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কোন অন্যায় করেনি বলে বুকে ছিলো তার অসীম সাহস উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের মাটি ও মানুষই শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল শক্তি। তাই তো কোনো ষড়যন্ত্রই দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে সেদিন ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি।

শেখ হাসিনা রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই প্রত্যক্ষ করেছেন ইতিহাসের নানান বাঁকবদল জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন পিতা মুজিব শেখ হাসিনার রাজনীতির গুরু। পিতার মতই ভালবাসেন দেশের মানুষকে। তাইতো গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে শত বাঁধা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে এসেছিলেন বলেই সেদিন জনগণের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিয়ে সরে যেতে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বিতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশরত্ন শেখ হাসিনা শুরু করেন সংকটের আবর্তে নিমজ্জমান অবস্থা থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করে একটি সুখি সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তোলার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে করেন পাপমুক্ত উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে সমুদ্র বিজয়, দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান তার অসামান্য কূটনৈতিক দক্ষতারই পরিচায়ক।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দিনবদলের অভিযাত্রায় উন্নয়নের মহাসড়কে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আজ বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রেরণের মাধ্যমে স্বপ্নের সীমানাকে পৌঁছে দিয়েছেন মহাকাশে।নিজস্ব অর্থায়নে আমাদের সক্ষমতা ও গর্বের প্রতিক পদ্মাসেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল এবং তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেল।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবেলা করে দেশ- বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যেখানে করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সেখানে শেখ হাসিনার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে জীবন ও জীবিকার মাঝে সমন্বয় করে করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের ইতিহাসে ৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন উপলক্ষে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয় কিন্তু এবছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কর্মসূচি পরিহার করা হয়েছে।’ তবে বাঙালির চিরঞ্জীব আশা ও অনন্ত অনুপ্রেরণার উৎস দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে ঘরে বসেই দোয়া করার জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

এছাড়া ওবায়দুল কাদের আগামী ১৭ মে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে দিবসটি পালন করার আহ্বান জানান। মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনার অনুরোধ জানান।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে করোনার কারণে পদ্মাসেতুর মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে বলে যে প্রতিবেদন করা হয়েছে তা সত্য নয়। তিনি আশাবাদ করেন, আগামী বছর জুনের মধ্যেই পদ্মাসেতুর কাজ সমাপ্ত হবে এবং যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

মুজিববর্ষের নামে ভাস্কর্য-ম্যুরালে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট: শফিকুল আলম

মুজিববর্ষের নামে কত টাকা অপচয় করা হয়েছে তা বর্তমান সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ