স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেন ও ওষুধের কোনো অভাব হবে না। প্রতিদিন সারাদেশে ৬০ থেকে ৭০ টন অক্সিজেন লাগছে। আর আমাদের অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা ১৭৫ টন। এছাড়া গ্যাসের মাধ্যমে আরও ৪০ টন অক্সিজেন তৈরি করা যাবে। আমাদের কাছে অক্সিজেন মজুত রয়েছে ৯০০ টন। করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে আগামীতে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি হবে না।
শুত্রবার (০৭ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকায় শুভ্র সেন্টারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য সরকার সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যার ফলে এখন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করলে আমরা আবারও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।
তিনি আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় আমাদের অক্সিজেনের ঘাটতি হয়েছিল। এজন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ২০ টন করে মেডিকেল অক্সিজেন আনা হয়েছিল। আমরা ইতোমধ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করতে পেরেছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের আয় রোজগার কমে গেছে। আবার অনেকের আয় বন্ধও হয়ে গেছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের অসহায় ও দুস্থদের খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
করোনার ভ্যাকসিনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা করোনার ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা করছি। দেশে এখন করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের হাতে কিছু ভ্যাকসিন রয়েছে। ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তিনি আমাদের বলেছেন- দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দুই হাজার অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার।