মার্কিন ওষুধ কোম্পানি মডার্না তৈরি ভ্যাকসিনের একটি সংস্করণ করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি। ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় দেখা গেছে, যে ধরনগুলো দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে আধিপত্য করছে, সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে এ ভ্যাকসিন। বুধবার নতুন গবেষণার ফল প্রকাশ করে মডার্না। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
করোনা মহামারি মোকাবিলার পথে বাধা তৈরি করছে করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ধরন। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বি১৩৫১ ভ্যারিয়েন্ট ও ব্রাজিলের পি১ ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এগুলোর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন আদৌ কার্যকর হবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। এমন অবস্থায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের নতুন সংস্করণ উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো। বর্তমানে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতাও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে নিজেদের আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ও এর নতুন সংস্করণের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে মডার্না। যেসব মানুষ এ ইতোমধ্যে এ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিয়েছে তাদের শরীরে মূল ভ্যাকসিনের বুস্টার শট এবং নতুন সংস্করণের ডোজ দিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়।
আলাদা দুই পরীক্ষার জন্য ২০ জন করে মোট ৪০ জনকে নমুনা হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। ডোজ নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর দেখা গেছে দুই গ্রুপের মানুষের শরীরেই নতুন ধরনকে নিষ্ক্রিয় করার মতো এন্টিবডি বেড়েছে। তবে এমআরএনএ-১২৭৩.৩৫১ নামক নতুন সংস্করণটির কার্যকারিতা স্ট্যান্ডার্ড বুস্টার শটের চেয়ে বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের নতুন ধরনকে মাথায় রেখেই মূলত এ সংস্করণ তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) রাতে মডার্না তাদের নতুন গবেষণার ফল প্রকাশ করে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কোম্পানিটিকে ইতিবাচক মনে হয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত প্রাথমিক বিশ্লেষণের মৌলিক তথ্যটুকুই জানানো হয়েছে। তবে সংস্করণটি এ বছরই বাজারে আনা যাবে বলে আশা করছে মডার্না।
মাঠ পর্যায়ে এ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়নি। ল্যাবে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বলছে, সংস্করণের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য তাদের বড় আকারের ট্রায়ালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
বুস্টার শট ও নতুন সংস্করণের মিশ্রণ তৈরি করেও আরেকটি পরীক্ষা চালাচ্ছে মডার্না।