মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ পর্যন্ত মোট দুই দফায় ৭৪ কার্যদিবসে সারাদেশে অধঃস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে ফৌজদারি মামলায় ১ লাখ ৭৩ জন আসামি জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।
সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২২১টি ফৌজদারি মামলায় জামিন আবেদনের নিস্পত্তি হয়।
সুপ্রিমকোর্ট মুখপাত্র জানান, গতকাল ৪ মে সারাদেশে অধঃস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ৩০৮৮টি ফৌজদারি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানিতে জামিন দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয় এবং ১৫৩৬ জন হাজতী অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন প্রাপ্ত হয়ে কারাগার হতে মুক্ত হয়েছেন। তিনি জানান, গত ১২ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর গতকাল ৪ মে পর্যন্ত মোট ১৬ কার্যদিবসে সারাদেশে অধঃস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ৫১,৮৮২টি মামলায় জামিনের দরখাস্ত ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় এবং ২৭,৮৪৪ জন হাজতী অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগার মুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ১৬ কার্যদিবসে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে মোট জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৩৬৭ জন।
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শারিরীক উপস্থিতি ব্যাতিরেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে গত বছর মে মাস থেকে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়। এ বিষয়ে সরকার আইন প্রণয়ন করে এবং সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের জন্য প্র্যাকটিস ডাইরেকশন জারি করে। সে অনুযায়ী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম চলে।
মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ইতোপূর্বে ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর প্রথম দফায় ২০২০ সালের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৫৮ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট ১,৪৭,৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি এবং ৭২,২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর হয়েছে (শিশু আদালত সহ)।
উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে গত ১২ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফায় ভার্চুয়ালি বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।- বাসস