ভারতে আতঙ্ক আর করোনা যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। সংক্রমণের দৈনিক হার ও মৃত্যুর সংখ্যা ঘিরে উদ্বেগ আকাশছোঁয়া। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে তুলছে করোনার নয়া স্ট্রেন।
গবেষকদের দাবি, এই স্ট্রেন ১৫ গুণ বেশি ভয়ঙ্কর! অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে সন্ধান মিলেছে এই স্ট্রেনের। যার প্রকোপে তিন-চার দিনের মধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগীরা!
‘সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি’ সংস্থা হদিশ পেয়েছে এই স্ট্রেনের। এর নাম দেয়া হয়েছে N440k। তবে এখনো পর্যন্ত কেবল অন্ধ্রপ্রদেশেই সীমাবদ্ধ রয়েছে স্ট্রেনটি। আশঙ্কা, যদি সেটি অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ে তাহলে নিশ্চিতভাবেই পরিস্থিতি আরো গুরুতর হয়ে উঠবে।
বিশাখাপত্তনমে এই নয়া স্ট্রেনে সংক্রমিত হতে দেখা গেছে বহু মানুষকেই। লক্ষ করা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে যে শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা অনেকটাই আলাদা। তাছাড়া আক্রান্ত হওয়ার পরে তিন-চার দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করছে।
কেরালাসহ দক্ষিণ ভারতে যে দু’টি স্ট্রেন দাপট দেখাচ্ছে সেগুলো হলো B.1.1.7 ও B.1.617। এদের থেকে অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অন্ধ্রের এই নয়া স্ট্রেন। অন্ধ্রপ্রদেশের কোভিড বিভাগের স্পেশাল অফিসার ও অন্ধ্র মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক পিভি সুধাকর জানাচ্ছেন, ‘আমরা দেখেছি এই নতুন স্ট্রেন অনেক দ্রুত ছড়ায় এবং রোগীকে কাবু করে ফেলে। সাধারণ যে কোনও করোনা রোগীর অন্তত এক সপ্তাহ লাগে হাইপক্সিয়া কিংবা ডিসনিয়ার মতো গুরুতর স্টেজে পৌঁছাতে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা ঘটে যাচ্ছে তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই। সেই কারণে রাজ্যে বেডের চাহিদা বাড়ছে। বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদাও।’
পাশাপাশি আরো ভয়ের কথা, এই স্ট্রেন অনায়াসে সংক্রমিত করে ফেলছে তরুণ প্রজন্মকে। দেখা যাচ্ছে ফিটনেস সচেতন রীতিমতো উচ্চমানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা তরুণ-তরুণীরাও এই স্ট্রেনের কবলে পড়ছেন। যা দেখে চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসকদের কপালে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন