স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তার বাসায় রাতে সাক্ষাৎ শেষে হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেছেন,আমাদের দাবিগুলো মন্ত্রীকে আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন, আশ্বাসও দিয়েছেন।
এর আগে হেফাজতের সদ্য সাবেক কমিটির মহাসচিব ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নূরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তার বাসায় রাতে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে হেফাজত নেতারা গ্রেফতার আলেম-উলামাদের মুক্তির দাবি জানান। একই সাথে ২০১৩ সালের মামলাগুলো প্রত্যাহার সহ তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চারটি দাবি তুলে ধরেন। বৈঠকটি শেষ হয় রাত ১২টায়।
এ সময় নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজী, মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি জসিমউদ্দিন প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যে ৪টি দাবি জানায় হেফাজতে ইসলাম
১ গ্রেফতার হওয়া আলেম-উলামা ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া।
২ আলেম-উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের গ্রেফতার এবং হয়রানি না করা।
৩ সরকারের নির্দেশে বন্ধ কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়া।
৪ ২০১৩ সালের হেফাজতের নেতাদের নামে মামলা গুলো পুর্বের আলোচনায় অনুযায়ী প্রত্যহারের ব্যবস্থা করা।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ মে) রাত ৯টা ২০ মিনিটে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে প্রবেশ করেন হেফাজত নেতারা।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনকে কেন্দ্র করে গত মার্চের ২৫, ২৬ ও ২৭ তারিখ দেশজুড়ে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, অন্তত ১৭ জন মানুষের প্রাণহানি হয়। এসব নাশকতার পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত এক ডজন হেফাজত নেতা গ্রেফতার রয়েছেন।
এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ জনতার হাতে ধরা পড়েন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত।
সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ইতিমধ্যে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।