পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যক ২১৩টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তবে নন্দীগ্রাম আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন প্রশ্ন হলো, বিধায়ক না হয়েও কি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় কোনও বাধা থাকে? কিন্তু না, সংবিধান অনুযায়ী মমতার শপথগ্রহণে কোনও বাধা থাকছে না। তিনি ৫ মে সকাল পৌনে ১১টায় রাজভবনে তৃতীয়বারের মতো শপথগ্রহণ করবেন।করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ছোট করে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক। মমতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।
যদিও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি উপস্থিতি থাকবেন না বলেই জানা গেছে। আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিও কে। তিনি আসবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, বিজেপি সংসদ সদস্য তথা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকেও।
এছাড়া শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকতে পারেন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তারকা সংসদ সদস্য দেব এবং শতাব্দী রায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির জন্ অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।