ভোট শেষ হওয়ার পরও নন্দীগ্রাম নিয়ে জারি চাপানউতোর। ইতিমধ্যেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সোমবার একটি এসএমএস পড়ে শোনালেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার নিজের ফোনে একটি এসএমএস দেখিয়ে মমতা দাবি করেন, নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসার এটি পাঠিয়েছেন। তবে কাকে পাঠানো হয়েছে, তা ভাঙতে চাননি তৃণমূল নেত্রী। ওই এসএমএস পাঠ করে শোনানো হয় সাংবাদিকদের। ওই এসএমএসে বলা হয়েছে, ‘প্লিজ সেভ মি। আমার কাছে আত্মহত্যা ছাড়া বিকল্প নেই। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমার ছোট মেয়ে রয়েছে।’
তার পর মমতা বলেন, ‘বুঝতে পারছেন কী হয়েছে! সব জায়গায় এক ফল আর একটা জায়গায় হঠাৎ ৮ হাজার ভোট হয়ে গেল জিরো। ৪ ঘণ্টা সার্ভার ডাউন করে রেখে দিয়েছিল। ৪০ মিনিট লোডশেডিং করে রেখেছিল। মেশিন পাল্টেছে। অনেক কিছু করেছে। ভয়ের কী আছে? অফিসিয়ালি কেউ পুনর্গণনা চাইতে পারে। নির্বাচন কমিশন দিল না কেন? সাংঘাতিক কথা দেখেছেন। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কাজ করানো হচ্ছে রিটার্নিং অফিসারকে।’
মমতা আরও বলেন, ‘সব সাংবাদিকরা অ্যানাউন্স করে দিল। সব উল্টে গেল। এরকম কোথাও দেখিনি। এত বড় মাফিয়াগিরি! তার বিচার হোক। কোর্টে তো আমরা যাবই। আমাদের ছেলেমেয়েরা আন্দোলন করছে। আলাদা জায়গায় ইভিএম, ভিভিপ্যাট ও ব্যালট সরিয়ে রাখতে হবে। লিখিত দিতে হবে যাতে বিকৃত করা না হয়। বিকৃত করা হলে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, দু’জন পর্যবেক্ষক পক্ষপাতদুষ্ট। ওরা বলছে, মমতাকে হারাতে হবে। ওরা ৫০ পার করত না। নির্বাচন কমিশনের জন্য করতে পেরেছে। সূত্র: জিনিউজ