spot_img

প্রথম ইনিংসেই অর্ধেক ম্যাচ হেরে গিয়েছিলাম: মুমিনুল

অবশ্যই পরুন

সিরিজের প্রথম টেস্টে কি দূর্দান্ত ব্যাটিংই না করেছে বাংলাদেশ। সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি (শান্ত ১৬৩, মুমিনুল ১২৭) করেছেন। মরা পিচে কর্তৃত্ব করেই ম্যাচ ড্র করেছে বাংলাদেশ দল। অথচ, সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুদ্রার ওপিঠ দেখেছে দর্শক।

বাংলাদেশ হেরে গেছে ২০৯ রানে। প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানে পিছিয়ে পড়ায় ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ, ম্যাচ উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক-‘আপনি যখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন, তখন আপনার ওপরে চাপ থাকবেই। এই চাপ আপনাকেই সামলাতে হবে এবং চাপ সামলেই ভালো করতে হবে। প্রথম ম্যাচে সবাই যেভাবে অবদান রেখেছিল আমি খুশি হয়েছিলাম। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে যখন কেবল আড়াই শ রান করলাম আমরা, তখনই ম্যাচ অর্ধেক হেরে গিয়েছিলাম। প্রথম ইনিংসে আমাদের আরও ভালো ব্যাটিং করতে হতো।’

টসে হারকেও ম্যাচ হারের কারণ বলে মনে করছেন মুমিনুল-‘আমার মনে হয় এই টেস্ট ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল টস। দেখুন, প্রথম ২ দিনে কিন্তু উইকেটে বোলারদের জন্য কোনো সুবিধা ছিল না। আমার মনে হয়েছে, এই ম্যাচটার ৫০ শতাংশ ফলাফল টসের সময়েই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। কন্ডিশন অনেকটা একই। পার্থক্য শুধু এখানে আর্দ্রতা একটু বেশি।’

একাদশে একজন স্পিনার কম ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে,তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন মুমিনুল- ‘দেখতে অনেকটা একই রকম ছিল (উইকেট প্রথম টেস্টের মত)। একজন কম স্পিনার খেলিয়েছি বলে যে প্রশ্ন হচ্ছে, আমি যদি আগে ব্যাটিং করতাম  তখন দেখতেন যে গল্পটা ভিন্নরকম হত। ওরা হয়তো আমাদের জায়গায় থাকতো আজকে। আমরা আজকে ওদের জায়গায় থাকতাম। আর এসব উইকেটে খুব বেশি স্পিনারও লাগে না যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে। তো আমাদের তো দুজন খুব ভালো মানের স্পিনার ছিল, আমার মনে হয়না আরেকটা স্পিনার লাগতো। দুই স্পিনারই আমার মনে হয় যথেষ্ট।’

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টানা ৫ টেস্ট হারের পর হারের বৃত্ত ভেঙ্গে ড্র করেছে বাংলাদেশ এই সফরেই।টানা তিন ইনিংসে তামিমের হাফ সেঞ্চুরি,শান্তর প্রথম সেঞ্চুরি,দেশের বাইরে মুমিনুলের প্রথম সেঞ্চুরি এবং তাসকিনের দারুণ প্রত্যাবর্তন, এসবকে এই সিরিজের প্রাপ্তি বলে উল্লেখ করেছেন-‘অবশ্যই প্রাপ্তির কিছু না কিছু আছে। আমি সিরিজ হেরেছি এর মানে এই না যে সব কিছু হেরে গিয়েছি। হয়তো আমি জানি একটু সমালোচনা হবে, অনেকেই অনেক কথা বলবে। এর ভেতরেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে আমার কাছে মনে হয়। প্রথম টেস্টে আমি যেটা সব সময় চাচ্ছিলাম যে দলগতভাবে খেলব। যেটা আমরা শেষ ২-১টি টেস্ট ম্যাচে খেলতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয় প্রথম টেস্টে আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। আমরা তখনই ভালো খেলি যখন আমরা দলগতভাবে খেলতে পারি। দলের সবাই যখন অবদান রাখে তখন আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পারি। আপনি  যদি দেখেন তামিম ভাইর দুইটা নম্বই আছে, একটা ৭০ আছে। শান্তর একটা ১৬৩ আছে, মুশফিক ভাই ও লিটনের হাফ সেঞ্চুরি আছে। তাইজুলের ৫ উইকেট আছে। আমার কাছে মনে হয় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আপনারাও হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন কোন পেসার কি কিছু করতে পারছে কিনা, সেই হিসেবে তাসকিনকে দেখেছেন। আগের চেয়ে অনেক ভালো এখন। অনেক উন্নতি করেছে। আমার কাছে মনে হয় অনেক ইতিবাচক দিক আছে এই টেস্ট সিরিজে।’

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ