শুরুটা ধীরস্থিরভাবেই করেছিলেন জস বাটলার। পরে রীতিমতো সাইক্লোন বইয়ে দেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলারদের ওপর। তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তাতে রান পাহাড়ে চড়ে রাজস্থান রয়্যালস। পরে হায়দরাবাদ ইনিংসে মুস্তাফিজ ম্যাজিক দেখান নিজের, তাতে সাঞ্জু স্যামসানের দল ৫৫ রানের বড় জয় পায়।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদের নতুন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ১৭ রানে ১৩ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার জয়স্রী জাসওয়াল। এরপর সাঞ্জু স্যামসানের সঙ্গে ১৫০ রানের বিশাল জুটি গড়েন জস বাটলার।
৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৮ রান করে আউট হন স্যামসান। তবে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন বাটলার। ১১ চার ও ৮ ছক্কায় ৬৪ বলে তার ১২৪ রানের ঝড় থামে সন্দীপ শর্মার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত গেলে। তবে ততক্ষণে কাজের কাজটা ঠিকই হয়ে গেছে। বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় রাজস্থান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা থামে ২২০ রানে।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারেনি হায়দরাবাদ। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান তুলেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও মনিশ পান্ডে। তাদের জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২০ বলে ৩১ রান করা মনিশ পান্ডেকে বোল্ড করেন তিনি।
আরেক ওপেনার বেয়ারস্টোও সাজঘরে ফেরত যান ২১ বলে ৩০ রান করে। এরপর হায়দরাবাদের বেশ কয়েক জন ব্যাটসম্যান ছোট ছোট ইনিংস খেললেও জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট হয়নি। মুস্তাফিজুর রহমান পরে আরও দুই উইকেট নেন। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন মুস্তাফিজ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে হায়দরাবাদের ইনিংস।