স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা কমেছে। তবে প্রথম ঢেউয়ের পরে যেভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীন হয়েছিল, সেরকম হলে খুব দ্রুতই দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে।’
রোববার (২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছে। ভারত থেকে এ ভাইরাস আমাদের দেশেও আসতে পারে। এ কারণে আগামীতে স্বাস্থ্য খাতের সব পর্যায়ের কর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে সেবা অব্যাহত রাখতে হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউ সফলভাবে সামলেছিলাম। মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যাপক অনীহা ও অবহেলার কারণে দেশে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে।’
মানুষ যুদ্ধ করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, কিন্তু মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য খুব বেশি ভাবেনি, এ কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের করোনা মহামারিতে বিশ্ব বুঝতে পেরেছে, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ কতটা জরুরি। করোনা দেখিয়ে দিচ্ছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়া এ পৃথিবীতে মানুষ বেশিদিন বাঁচতে পারবে না। আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট অনেক কম। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ বিনিয়োগও বৃদ্ধি করতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কমিউনিটি ক্লিনিকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ অন্যান্য বক্তারা। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।