একটি প্রাচীন মমি পরীক্ষা করে গবেষকেরা বলেছিলেন, এটি সম্ভবত কোনো পুরুষ পুরোহিতের মমি। কিন্তু সম্প্রতি এক্স-রে এবং কম্পিউটার পরীক্ষার পরে বিজ্ঞানীরা অবাক। তারা দেখেন, এটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মমি! গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এটিই হলো বিশ্বের প্রথম কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর মমি।
জানা গেছে, মমিটি ১৮২৬ সালে ওয়ার্সোও পৌঁছেছিল। ওই কফিনটির উপরে খোদাই করা ছিল এক পুরোহিতের নাম। গবেষকদের পক্ষ থেকে নৃতত্ত্ববিদ ও প্রত্নতত্ত্ববিদ মার্জিনা ওজারেক সিলকে জানান, মমিটি পরীক্ষা করতে গিয়ে পুরুষের কোনো প্রমান পাইনি বরং নারীর প্রমাণ মিলেছে। এরপর আমরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হই, এটি কোনো মহিলার মমি। এবং তিনি অন্তঃসত্ত্বা!
তাদের অনুমান, ওই মিশরীয় নারীর বয়স ২০-৩০ বছরের মধ্যে। গর্ভস্থ শিশুর করোটি পরীক্ষা করে তাদের ধারণা, এর বয়স ২৬-২৮ সপ্তাহের মতো। জার্নাল অব আর্কিওলজিকাল সাইন্সে এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই মমিটি থেকে প্রাচীন মিশরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হত, তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে।