দৈনিক পাঁচবার ফরজ নামাজ আদায় করা সব মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক। কিন্তু এর বাইরেও বিভিন্ন নফল নামাজ আছে। চাশতের নামাজ তারই একটি। দিনের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর চাশতের ওয়াক্ত শুরু হয়। সূর্য ঢলে যাওয়া পর্যন্ত তা বাকি থাকে। ঘড়ির হিসাবে গ্রীষ্মকালে সকাল ৯টা থেকে এবং শীতকালে সকাল ১০টা থেকে চাশতের ওয়াক্ত শুরু হয়।
এ নামাজকে আরবিতে ‘সালাতুদ্ দোহা’ বলা হয়। চাশতের নামাজের রাকাতের সংখ্যা হাদিসে দুই, ছয়, আট ও বারো এসেছে। এ জন্য চাশতের নামাজ কমপক্ষে দুই রাকাত পড়া আবশ্যক। দুই রাকাতের বেশি বারো রাকাত পর্যন্ত যত ইচ্ছা পড়বে। হজরত আয়েশা (রা.) আট রাকাত পড়তেন এবং বলতেন, ‘যদি আমার মা-বাবাও কবর থেকে উঠে চলে আসেন, তাহলেও আমি তা ছাড়ব না।’ (মিশকাত শরিফ)
হজরত উম্মে হানি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা বিজয়ের দিন আমার ঘরে এসে চাশতের আট রাকাত নামাজ আদায় করেছেন। (বুখারি ও মুসলিম)
চাশতের নামাজের ফজিলত:
হাদিস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) আবু যর (রা.)-কে বলেছেন, ‘তুমি যদি চাশতের নামাজ দুই রাকাত পড়ো, তাহলে তোমাকে গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আর যদি চার রাকাত পড়ো, তাহলে তুমি নেককার মধ্যে গণ্য হবে। আর যদি আট রাকাত পড়ো, তবে সফলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। আর যদি দশ রাকাত পড়ো তাহলে কেয়ামত দিবসে তোমার কোনো গুনাহ থাকবে না। আর যদি বারো রাকাত পড়ো, তাহলে আল্লাহ তোমার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি করবেন।’ (সুনানে কুবরা লিল-বাইহাকী, পৃষ্ঠা : ৩/৪৮)
আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে আমল করার উপদেশ দিয়েছেন, প্রতি মাসের প্রথম তিনদিন রোজা রাখা; চাশতের নামাজ (সালাতুদ্ দুহা) আদায় করা এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিতরের নামাজ আদায় করার। (বুখারি, হাদিস নং ২৭৪; মুসলিম, হাদিস নং ১৫৬০)