গত ২৪ ঘণ্টায় প্রথম কোনো দেশ হিসেবে ভারতে চার লক্ষাধিক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। একইদিনে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক করোনা রোগীর। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভারতের এই রাজ্যে এর আগে একদিনে এত জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দফতর স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে যে, গতদিন রাজ্যে ১০৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে আরও ১৭ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে টানা চার দিন রাজ্যে আক্রান্ত ছিল ১৭ হাজারের বেশি।
পশ্চিমবঙ্গে মহামারি করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি রাজধানী শহর কলকাতা এবং উত্তর চব্বিশ পরগনায়। এই দুই এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টার প্রায় চার হাজার করে শনাক্ত হয়েছে। লাফিয়ে বাড়ায় আক্রান্তের মোট হার দাঁড়িয়েছে ৮.০৬ শতাংশে; যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর চব্বিশ পরগনায় ২৬, কলকাতায় ১৯, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮ উত্তর দিনাজপুরে ৬, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫ জন করে করোনা আক্রান্ত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
এছাড়া দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং মালদহে ৪ জন করে মারা গেছেন। নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম ও হুগলি জেলায় ৩ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন করে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১১ হাজার ৪৪৭ জন করোনায় প্রাণ হারালেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ হাজার ২৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১৭ হাজার ৫১২টির। আর এর জেরে দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৩১.১১ শতাংশে। সব মিলিয়ে রাজ্যটিতে ৮ লাখ ৪৫ হাজার ৮৭৮ জনের দেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে করোনা।
নতুন করে উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৩,৯৩৪, কলকাতায় ৩,৮৮৫, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ৯৯২, হাওড়ায় ৯৬৪, পশ্চিম বর্ধমানে ৮৭৪, নদীয়ায় ৮৪৮, হুগলিতে ৮৬০, পূর্ব বর্ধমানে ৬৪৫, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬৪৫ এবং বীরভূমে ৬৩৭ করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।