চলমান সংকটে কর্মহীন, খেটে খাওয়া, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের সকল বিত্তবান ও স্বচ্ছল মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
আজ শনিবার (১লা মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তায় এই আহবান জানানো হয়। বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে সারাবিশ্ব এক মানবিক সংকটের সম্মুখীন। মানবিক সংকটের মুখে পড়েছে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জীবন-জীবিকাও। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে খেটে খাওয়া, দিনমজুর কর্মহীন এইসব মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এবং সমাজের অনেক বিত্তবান মানুষ খেটে-খাওয়া দিনমজুর মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি ও সাধারণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার মতো নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ্য থেকে বলা হয়, ‘দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে এই সময়ে যেসকল শ্রমিক ভাই-বোনেরা জরুরী সেবা ও কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিক ভাই-বোনদের প্রতি সদয় হোন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠবো, ইনশাল্লাহ্। পরম করুণাময় আমাদের সহায় হোন।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষই দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশ উন্নীত হয়েছে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে। আর তাদের নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের মহিমান্বিত আত্মত্যাগের ইতিহাস প্রজান্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুপ্রেরণার চিরন্তন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।
এতে বলা হয়, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন লাঞ্চিত-নিপীড়িত শোষিত-বঞ্চিত-অবহেলিত গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের দৃঢ় সংকল্পে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আদর্শের আনুসারী নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত হয় আওয়ামী লীগ। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এদেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত-বঞ্চিত নির্যাতিত-নিপীড়িত মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তেমনি তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে গ্রহণ করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে গ্রহণ করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। ব্যাপক শিল্পায়নের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক শ্রমনীতি প্রণয়ন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নামে দুটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় সৃষ্টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও কর্মংসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষদের সহায়তা প্রদান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার সুযোগ সম্প্রারিত করাসহ শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে অসংখ্য কল্যাণকর উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়।