পানি নিয়ে বিতর্কের জেরে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের সংঘাতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও বহু আহত ও ১০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বহু বছর ধরে দুদেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক চললেও এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুই প্রতিবেশীর মধ্যে প্রথম সংঘাত শুরু হয়। তখন পানি স্থাপনায় নজরদারি ক্যামেরা বসানোর পর দুই পক্ষ থেকে পরস্পরের প্রতি পাথর নিক্ষেপ করা হয়।
অস্ত্রবিরতি চুক্তি ও সেনাপ্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও গোলাগুলি চলছিল। কিরগিজের পক্ষ থেকে হতাহতের সংখ্যা জানা গেলেও তাজিকের তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে কিছু ভবনে অগ্নিদগ্ধ হতে দেখা গেছে। কিরগিজস্তানের বাতকিন অঞ্চল ঘিরে এই দ্বন্দ্ব।
নিহতদের মধ্যে এক কিরগিজ শিশুকন্যাও রয়েছে। বাতকিন অঞ্চলের গভর্নর বলেন, পানিতে নজরদারি যন্ত্র সরিয়ে নিতে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে। কিন্তু তাজিকিস্তান পরে তা অস্বীকার করেছে।
এরপরই সীমান্তরক্ষীরা দ্রুত তৎপর হয়ে ওঠে। দুইপক্ষের সামরিক ইউনিট থেকে বৃহস্পতিবার পাল্টাপাল্টি গুলি শুরু হয়।
পরে এদিনই কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি। সশস্ত্র বাহিনী ঘাঁটিতে ফিরতে শুরু করে।
বাতকিন পুলিশের এক প্রতিনিধি ফোনে বলেছেন, রাতেও গোলাগুলি চলেছে। দুপক্ষের সামরিক ইউনিট এবং বেসামরিক লোকদের মধ্যেও গুলি চলেছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান। তখন থেকেই দুই দেশের মধ্য সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়ে আসছে।