মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফলে সারাবিশ্ব থেকে সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে ভারতে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির ধর্মীয় উৎসব কুম্ভ স্নানে অংশ নিয়েছেন ৯১ লাখের বেশি মানুষ।
মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিটি রাজ্যেই হাসপাতালের বেডের জন্য হাহাকার চলছে। অক্সিজেনের জন্যও। তবে এর মধ্যেও নির্বিকার কুম্ভমেলায় যাওয়া মানুষজন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সবমিলিয়ে ৯১ লাখ মানুষ হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় গিয়ে গঙ্গায় স্নান করেছেন। তার মধ্যে এপ্রিল মাসে গেছেন ৬০ লাখ মানুষ। বুধবার (২৮ এপ্রিল) হরিদ্বারে কুম্ভ শেষ হয়েছে। সেদিনও ২৫ হাজার মানুষ শেষ শাহি স্নান করেছেন। হর কি পৌরির ঘাটে ১৩টি আখড়ার দুই হাজার সাধুর স্নানের জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছিল। কুম্ভ শেষ হওয়ার পর হরিদ্বারে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
করোনার এই তাণ্ডবের মধ্যে কেন কুম্ভমেলার অনুমতি দেওয়া হলো, কী করে এত মানুষকে আসতে দেওয়া হলো, আর মানুষই বা এই পরিস্থিতির মধ্যে সব বিপদ ভুলে কী করে হরিদ্বারে ছুটলেন, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
রাজ্য সরকার আগে জানিয়েছিল, তারা সব ধরনের সাবধানতা নিয়েছে। করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এত মানুষের ক্ষেত্রে তা করা সম্ভব নয় বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে। ১২ এপ্রিল ৩৫ লাখ মানুষ গঙ্গায় স্নান করেছেন।