ঢাকার ধানমন্ডিতে নৌবাহিনী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। এর পরের দিন বুধবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগরভবনে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও ইরফান সেলিম।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর ডিএসসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদ থেকে ইরফানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় গত ২৮ মার্চ ইরফান সেলিমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৫ এপ্রিল আপিল বিভাগে শুনানি হয়। সেখানেও হাইকোর্টের দেওয়া ইরফান সেলিমের জামিন বহাল রাখা হয়। এতে তার কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা ছিল না।
ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে করা মোট ৫টি মামলার মধ্য চকবাজার থানায় করা একটি মাদক ও একটি অস্ত্র মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাকে অব্যাহতি দিয়ে সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
নগরভবনে মেয়র তাপসের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মামলার বিষয়ে ইরফান সেলিম বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সুতরাং এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমার প্রতি জনগণের ভালবাসা ও দোয়া রয়েছে, এজন্য আমি আপনাদের মধ্যে ফিরে এসেছি।
জানা গেছে, ইরফান সেলিমের বাসায় মাদক রাখার দায়ে একটি মামলায় এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এ দুই মামলায় তিনি নির্বাহী আদালতে আপিল করে জামিনে আছেন। বাকি নৌবাহিনীর অফিসারকে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগের মামলায় সর্বোচ্চ আদালতে তার জামিনের আদেশ বহাল রাখায় ২৮ এপ্রিল তিনি মুক্তি পেয়েছেন।