প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতের রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের ক্ষমতা কার্যত খর্ব করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ‘দ্য গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি (জিএনসিটিডি)’ আইনটি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত মঙ্গলবার থেকে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে। জিএনসিটিডি আইন কার্যকরের ফলে এখন থেকে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কেজরিওয়াল সরকারকে উপরাজ্যপাল অনিল বাইজালের পরামর্শ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের তুলনায় অতিরিক্ত ক্ষমতা ভোগ করবেন উপরাজ্যপাল।
চলতি বছরের ২২ মার্চ লোকসভা এবং ২৪ মার্চ রাজ্যসভায় জিএনসিটিডি বিল পাশ হয়েছিল। সে সময় আম আদমি পার্টি, কংগ্রেসসহ একাধিক বিরোধী দলের সদস্যরা এই বিলের প্রতিবাদে লোকসভা ও রাজ্যসভা ওয়াকআউট করেছিলেন।
তারপর ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই বিলে স্বাক্ষর করলে আইনে পরিণত হয় সেটি। তবে এই বিল ঘিরে বিতর্কও কম হয়নি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গত ২৮ মার্চ বলেছিলেন, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচিত সরকারের তুলনায় উপরাজ্যপালের হাতে অধিক ক্ষমতা তুলে দেওয়ার এই চেষ্টা দিল্লির আম জনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সমতুল্য। এই আইনের মাধ্যমে কার্যত দিল্লির ভোটারদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হল।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্র যদিও জানিয়েছে, রাজধানীতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার; তবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে কেজরিওয়ালের টানাপড়েনের বিষয়টিও সুবিদিত।
সূত্র : এনডিটিভি