শ্রীলঙ্কায় বোরকা পরিধান নিষিদ্ধ করতে একটি আইনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। এটি এখন আইনখসড়া কমিটির কাছে যাবে এবং পরে তা শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে পাঠানো হবে। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে দেশটির জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী সারাথ বীরাসেকারার প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে খালিজ টাইমস।
জানা যায়, এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকওয়েলা বলেন, ‘মন্ত্রিসভা প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এটি এখন আইনখসড়া কমিটির কাছে যাবে এবং পরে তা শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে পাঠানো হবে।’
এর আগে, গত মার্চে বোরকা নিষিদ্ধে আইন করার কথা জানিয়েছিলেন দেশটির জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী সারাথ বীরাসেকারা। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ওই সময় শ্রীলঙ্কা সরকার জানিয়েছিল, এটি প্রস্তাবমাত্র এবং সরকার এটি বাস্তবায়নে তাড়াহুড়া করে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে কলোম্বোতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত এক টুইটে বলেছিলেন, বোরকা নিষিদ্ধের এই পদক্ষেপ ‘শ্রীলঙ্কার সাধারণ মুসলমান ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের ক্ষতকে আরও গভীর করে তুলবে।’
বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশ শ্রীলঙ্কায় এর আগে ২০১৯ সালে অস্থায়ীভাবে পুরো মুখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কয়েকটি গির্জা ও হোটেলে বোমা হামলার পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
এর আগে শ্রীলঙ্কা সরকার কোভিড-১৯ এ মারা যাওয়া মুসলমানদের মৃতদেহ পুড়িয়ে দিতে বাধ্য করেছিল। ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী মৃতদেহ কবর দিতে হয়। কিন্তু কবর দিলে ভাইরাস মাটিতে ও পানিতে মিশে যেতে পারে যুক্তিতে কবর দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে এ বছরের শুরুর দিতে শ্রীলঙ্কা সরকার ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়।