গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ছেলে উজ্জল হোসেনের (২৮) ইটের আঘাতে গুরুতর আহত মা সুফিয়া খাতুন (৫৫) সোমবার ভোর রাতে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় ছেলে উজ্জল হোসেনকে কালাই উপজেলার শালগুণ এলাকা থেকে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষটি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান।
নিহত সুফিয়া খাতুন জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রাম পশ্চিম পাড়া গ্রামের তছলিম উদ্দিনের স্ত্রী।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি আলমগীর জাহান জানান, গত রোবাবার রাতে সুফিয়া তার ছেলে উজ্জলের স্ত্রী মেনোকাকে চুলা থেকে ছাই সড়াতে বলেন। এতে শ্বাশুরী ও বৌ এর মধ্যে কথাকাটাকাটি এক পর্যায়ে উজ্জল স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে মা সুফিয়ার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন।
গুরুতর আহত সুফিযাকে প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে আজ সোমবার ভোর রাতে তিনি সেখানে চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ওসি আরো জানান, পুলিশ খবর পাওয়ার পর সোমবার সকালে ছেলে উজ্জলকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে আজ সোমবার দুপুরে সুফিয়া খাতুনের ভাই মজিবর রহমান বাদী থানায় মামলা করেন।