spot_img

ভ্যাকসিনের কাঁচামাল দিতে ভারতের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের

অবশ্যই পরুন

ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রয়োজনের তুলনায় ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে বলেই কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করেছে একাধিক রাজ্য। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টিকা ও টিকা তৈরির কাঁচামাল রফতানি করার আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দেশের প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দেয়ার পরেই তা বিদেশে পাঠানো হবে।

ভারতের প্রয়োজনের সময় তাদেরকে ভ্যাকসিন দেয়ার অনুরোধ মার্কিন প্রশাসন এভাবে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করায় সমালোচিত হচ্ছে মোদি সরকার। কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভেঙে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে সরাসরি ভোট চেয়েছিলেন মোদি। কিন্তু নির্বাচনে হেরে যান ট্রাম্প। মোদির সেই অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফলই এখন ভারতকে ভুগতে হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রসঙ্গে নীরব রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় বাইডেন প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ভারতের অনুরোধের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেবে জানতে চাইলে, মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছিলেন যে, ‘যুক্তরাষ্ট্র তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম এবং সর্বাগ্রে কার্যকরভাবে সকল আমেরিকানকে ভ্যাকসিন দেয়ার প্রচেষ্টা সফল করতে চায়।’ ভারতের আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকটি কারণে আমরা এটি করছি। এক, আমেরিকান মানুষের প্রতি আমাদের একটি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। দুই, করোনার কারণে আমেরিকা ও তার জনগণ বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছে – শুধু এ দেশেই সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশও দেখতে চায় যে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সকল নাগরিককে টিকা দিতে পেরেছে।’

তিনি জানান, ‘সেক্রেটারি (অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন) বারবার বলেছিলেন যে, যতক্ষণ এই ভাইরাসটি যে কোনও জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে ততক্ষণ এটি সর্বত্র মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ। সুতরাং যতক্ষণ না এই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করা না যাচ্ছে, এটি সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। ফলস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও এটি একটি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

শুক্রবার ইউএস চেম্বার অফ কমার্স বাইডেন প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, ভারতে টিকা পাঠানোর। চেম্বার অফ কমার্সের এগজিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইরন ব্রিলিয়ান্ট বলেন, ‘আমেরিকার কাছে প্রচুর টিকা মজুত রয়েছে। এই মুহূর্তে আমেরিকায় টিকা উৎপাদনের যা গতি তাতে মজুত টিকা বাদ দিলেও জুন মাসের মধ্যে সবাইকে টিকা দেয়া সম্ভব। তাই ভারত, ব্রাজিলের মতো দেশের প্রয়োজনে টিকা রফতানি করা উচিত।’

বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ইউএস অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট (দক্ষিণ এশিয়া) নিশা বিসওয়াল টুইট করে বলেন, ‘ভারতে এই মুহূর্তে যা অবস্থা, তাতে আমেরিকা ও আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্যের প্রয়োজন। যখন অন্য দেশের সাহায্যের দরকার হয়েছে তখন ভারত সব সময় এগিয়ে এসেছে। এখন আমেরিকার উচিত সাহায্য করা।’

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ