রবিবার (২৫ এপ্রিল), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এই ২১ লাখ টিকার মধ্যে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে আসবে অক্সফোর্ডের ২০ লাখ ডোজ টিকা ও কোভ্যাক্স থেকে আসবে ফাইজারের ১ লাখ ডোজ টিকা। গণটিকাদানের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে কার্যক্রম চলবে।
তিনি আরো জানান, ভারতে করোনার নতুন রুপ শনাক্ত হওয়ায় দেশটির সাথে জরুরি পণ্য পরিবহণ ছাড়া সব ধরনের যোযাযোগ বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতের সাথে ল্যান্ড ও এয়ার বর্ডার খোলা থাকলে ভারতের ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।
মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, দেশে তিনটি ফার্মাসিউটিক্যালস’র করোনার টিকা তৈরি সক্ষমতা আছে৷ সব ধরনের টিকা ব্যবহারের সময় কিছু ক্ষতি হয়। করোনার ক্ষেত্রেও পাঁচ থেকে দশ শতাংশের মতো ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
মহাপরিচালক আরো জানান, চীনের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ টিকা নেবে বাংলাদেশ। তবে এই টিকা প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় কমিটি। আর অনুমোদন দিয়ে দেয়া মানে এই না যে এই টিকা এখনই আমরা দিয়ে দিবো। এই সিদ্ধান্ত জাতীয় যে কমিটি হয়েছে তারা নেবে। দেশের প্রয়োজনে যা দরকার তাই করতে হবে। সব টিকা কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে? তারপরেও তো তারা ব্যবহার করছে। এখন দেশের প্রয়োজনে কি করা হবে তা কর্তা-ব্যক্তি যারা তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা তো এক্সিকিউট করবো, সিদ্ধান্ত নেব না।