নার্স যখন বাম বাহুতে ট্যাটু আঁকা জায়গায়টায় স্যানিটাইজ করতে শুরু করেন, তিনি চোখটা সরিয়ে নেন পাশে থাকা সোফির দিকে। তাকে কি খুব নার্ভাস লাগছিলো তখন! নার্স যখন সিরিঞ্চটা বাহুতে বসিয়ে দিলেন, তিনি আলগোছে সোফির হাতটা চেপে ধরলেন। দু একবার এদিক সেদিক তাকালেও তার দৃষ্টি ছিলো সোফির দিকে। মনে হচ্ছিলো একজন ভয়ার্ত শিশু কোথা্ও আশ্রয় খুঁজছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আজ দুপুরে করোনা ভাইরাসের অ্যাস্ট্রেজেনেকা টিকা নিয়েছেন। মিডিয়ার উপস্থিতিতে তার টিকা নেয়ার সময়টায় যারা তার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন, তাদের কারোই চোখ থেকেই এই দৃশ্যটা এড়ানোর কথা নয়।
স্ত্রী সোফিকে সাথে নিয়ে দুপুরের দিকে অটোয়ার রেক্সডেলের একটি ফার্মেসীতে যান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। প্রথম টার্ন ছিলো ট্রুডোরই। গায়ের ফুল স্লিভ শার্টটা খুলতে গিয়ে কিছুতেই যেনো হাতের বোতাম খুলতে পারছিলেন না তিনি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন স্ত্রী সোফি।
টিকা দেয়া শেষ হতেই তিনি বার বার সোফির দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে কিছুটা একটা বলার চেষ্টা করেন। অনুমান করা যায়, ‘আই অ্যাম ফাইন, ওকে’ জাতীয় কিছু একটা হয়তো বলছিলেন তিনি। তারপর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দু হাত উপরে তুলে থাম্ব আপ পোজ দেন। কিন্তু বরাবরের সাবলীল ট্রুডোকে যেনো কিছুতেই এই পোজে পাওয়া যাচ্ছিলো না।
সোফির টার্ন আসতেই যেনো তিনি হঠাৎ জেগে উঠেন। সোফির হাত ধরে সাহস সঞ্চয় করা ট্রডো সোফিকে সাহস দিতে চান এমন একটা ভাব নিয়ে স্ত্রীর পাশে গিয়ে বসেন। কিন্তু সাবলীল সোফি স্বত:স্ফূর্তভাবে জামার হাত গুটিয়ে নার্সের দিকে বাড়িয়ে দেন। নার্স যখন টিকা দিতে উদ্যত হন ঠিক সেই সময়টায় সোফির হাতকে নিজের হাতের মুঠোয় নেয়ার চেষ্টা করেন ট্রুডো। এক ঝটকায় ট্রুডোর হাত সরিয়ে দেন সোফি। ফুস করে হেসে উঠেন দুজনেই। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দু হাত নেড়ে ; এইটা কি হইলো- জাতীয় একটা ভঙ্গি করেন জাস্টিন ট্রুডো।