মজুতে থাকা ২ লাখ ১৬ হাজার ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ধার দিতে চলেছে নরওয়ে। বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেশি দেশ সুইডেন ও আইসল্যান্ডের টিকাদান কর্মসূচীকে ত্বরান্বিত করতেই তাদের এ উদ্যোগ।
গত ১১ মার্চ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিত করে নরওয়ে। কয়েকজন ভ্যাকসিন গ্রহীতার রক্তে জমাট বাঁধা, রক্তক্ষরণ ও মৃত্যুর পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।
সুইডেন এবং আইসল্যান্ড ততক্ষণ নরওয়ের কাছ থেকে ভ্যাকসিন ডোজ গ্রহণ করতে পারবে যতক্ষণ পর্যন্ত না অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ পুরোপুরি স্থগিতের আদেশ আসে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেন্ট হোয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমাদের প্রয়োজন হলে আমরা আবার এসব ভ্যাকসিন ফিরিয়ে নিতে পারব তাদের কাছ থেকে “।
নরওয়ে এখন পর্যন্ত দুইবার তাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রদান স্থগিত করেছে। আগামী ১০ই মে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
যদি স্থায়ীভাবে নরওয়ের টিকাদান কর্মসূচী থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তবে তাদের অর্ডারকৃত এ ভ্যাকসিনের আসন্ন ডোজগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় অন্যান্য দেশে দান করা হতে পারে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এদিকে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে সমন্বয় করে সুইডেন নির্দিষ্ট বয়সী গোষ্ঠীর জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ব্যবহার করে চলেছে। ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের ক্ষেত্রে তারা ঝুঁকি নিচ্ছে না।
সুইডেনে সংক্রমণের হার এবং হাসপাতালে ভর্তির মাত্রা বাড়ছে, অন্যদিকে নরওয়েতে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সংক্রমণ মাত্রা হ্রাস পেয়েছে।
হোয়ে জানান, “ভ্যাকসিন পেতে সুইডেন নরওয়েকে উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করেছে এবং এখন সে দেশটি সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে”।
গত বছর সুইডেনের সহযোগিতায় নরওয়ে বহিরাগত হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের করোনাভাইরাসের টিকা ক্রয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল।
জানা গেছে, মজুদকৃত ভ্যাকসিনের ২ লাখ সুইডেনে যাবে এবং অবশিষ্ট ১৬ হাজার অপেক্ষাকৃত কম জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ডে। এই ডোজগুলোর মেয়াদ আগামী জুন এবং জুলাইতে শেষ হবে।
সূত্র- রয়টার্স