ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ সাবমেরিনের নাগরিকদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করতে হবে ৫৩ জন ক্রু নিয়ে ডুবে যাওয়া ইন্দোনেশিয়ার ডুবোজাহাজটি। কারণ জাহাজে তিন দিন চলার মতো অক্সিজেন ছিল। সে হিসেবে নাবিকদের জীবিত পেতে হলে শনিবারের মধ্যে সাবমেরিনটি উদ্ধার করতে হবে।
জাকার্তা বলছে, আর মাত্র ২৪ ঘন্টার অক্সিজেন মজুদ রয়েছে ডুবোজাহাজটিতে।
শুক্রবারও ৫৩ নাবিকের সন্ধানে বালির উত্তরাঞ্চলে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারী জাহাজ এবং হেলিকপ্টার। সেখানেই বুধবার নিখোঁজ হয় ‘কেআরআই- নাংগাল ফোর জিরো টু’। সমুদ্রে টর্পেডো মহড়া চালাচ্ছিলো ৪৪ বছর পুরানো সাবমেরিনটি। আশঙ্কা ক্ষমতার চেয়েও বেশি গভীরে ডুব দিয়ে বিপাকে পড়ে যানটি। প্রায় ১৪শ’ টনের সাবমেরিনটি দেড় হাজার ফুট গভীর পর্যন্ত চলাচলের সক্ষমতা রাখে। ইন্দোনেশিয়ার সাথে যৌথভাবে অনুসন্ধান চালাচ্ছে মার্কিন নৌ-বাহিনী।
তাদের দাবি, সমুদ্রের ১৬৪ থেকে ৩২৮ ফুট গভীরতার মধ্যে ‘উচ্চ চৌম্বক শক্তিসম্পন্ন’ অজানা বস্তু চিহ্নিত করা গেছে। তবে জিনিসটি স্থবির না চলমান- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ১৯৭৭ সালে জার্মানি তৈরি করেছিলো সাবমেরিনটি; যা ১৯৮১ সালে যুক্ত হয় ইন্দোনেশিয়ার নৌবহরে।