মোস্তাফিজুর রহমানকে চার মেরে দেবদূত পাডিক্কাল তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন মাত্র ৫১ বলে। তার সেঞ্চুরি সঙ্গে বিরাট কোহলির দারুণ ইনিংসে মোস্তাফিজদের রাজস্থান রয়্যালসকে ১০ উইকেটে উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে মোস্তাফিজদের দল। টার্গেটে খেলতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু। ওপেনিংয়ে খেলতে নেমে দেবদূত পাডিক্কাল-কোহলি ম্যাচ শেষ করে আসেন।
শেষ দিকে রানের ব্যবধান কম থাকায় পাডিক্কালের সেঞ্চুরি নিয়ে জাগে ধোঁয়াশা। পাশে থাকা কোহলি তাকে সঙ্গ দেন দক্ষ নেতার মতোই। সিঙ্গেল নিয়ে বারবার স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন তাকে। শেষ পর্যন্ত দেখা মেলে সেঞ্চুরির। তিনি ৫২ বলে ১১টি চারো ৬টি ছয়ের মারে করেন ১০১ রান।
কম যাননি কোহলিও। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৭২ রান। ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে। এখন পর্যন্ত চলমান আসরে ৪টি ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই জয় পায় বেঙ্গালুরু। এই জয়ে তারা অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
এই ম্যাচেও রাজস্থান নেমেছে বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজুরকে নিয়ে। পাডিক্কাল-কোহলিদের তোপে আলো ছড়াতে পারেননি। ৩ অভার ৩ বলে ৩৪ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রাজস্থান। প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানের মধ্যে অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন ১৮ বলে ২১ রান করে। এরপর খেলার হাল ধরেন শিভাম দুবে ও রিয়ান পরাগ।
দুজনে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে ৩৯ বলে ৬৩ রান করে দলকে বিপদমুক্ত। পরাগ ১৬ বলে ২৫ করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। পরাগের পরেই দুবে আউট হন। তিনি ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩২ বলে করেন ৪৬ রান।
দুজন সাজঘরে ফিরলেও ঝড় থামেনি। এবার নতুন ব্যাটসম্যান রাহুল তেওয়াতিয়া ক্রিজে এসেই খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। সঙ্গে ছিলেন ক্রিস মরিস। তেওয়াতিয়া ২৩ বলে ৪০ রান করেন। মরিস বেশিদূর যেতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১০।
বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন মোহাম্মদ সিরাজ ও হারশাল প্যাটেল। ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে উইকেটগুলো নেন সিরাজ।